টকশো-সুদ থেকে ইনুর আয় ৪ লাখ টাকা!

হাসানুল হক ইনু, জাসদের সভাপতি। বর্তমানে মহাজোট সরকারের তথ্যমন্ত্রী। ২০০৮ সাল থেকে কুষ্টিয়া-২ আসনের এমপি।

এবারও ইনু একই আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় তিনি বছরে ব্যাংকের সুদ ও টকশো থেকে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯১৪ টাকা আয় করেন বলে উল্লেখ করেছেন।

অবশ্য বিগত নির্বাচনের হলফনামায় তিনি শুধু টকশো থেকে ১ লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা আয় করার তথ্য দিয়েছিলেন। এবার পৃথকভাবে তিনি সে তথ্য দেননি।

পেশায় রাজনীতিক ও প্রকৌশলী ইনুর নিজের কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। তবে স্ত্রীর নামে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৫ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

ব্যবসা (শম কম্পিউটার লিমিটেড হতে সম্মানী) থেকে ইনুর বছরে আয় ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১২৯ টাকা। তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত বেতন/সম্মানী ও করমুক্তভাতা ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের নগদ টাকা আছে ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৪৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৮০ টাকা। কোম্পানির শেয়ার কেনা আছে ১ লাখ টাকা।

সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। নিজেদের ব্যবহৃত ৩টি গাড়ির মূল্য ১ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার ৩০৯ টাকা। ২৫ ভরি স্বর্ণ উপহার পেয়েছেন, যার মূল্য ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। আসবাবপত্র রয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫০ টাকার।

জাসদ সভাপতির স্থাবর সম্পদের মধ্যে কোনো কৃষি জমির নেই। অকৃষি জমি ঢাকার পূর্বাচলে রয়েছে ১০ কাঠা, যার অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।

স্ত্রীর আয়ের কোনো উৎস না দেখালেও অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নগদ অর্থ রয়েছে ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৭ টাকা। কোম্পানির শেয়ার থেকে আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ ভরি স্বর্ণ আছে, যার মূল্য ১২ হাজার টাকা। ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে ২০ হাজার ৩০০ টাকার। আর আসবাবপত্র রয়েছে ৬৫ হাজার টাকার।

এ ছাড়া স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের মধ্যে যৌথ মালিকানায় ৩ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে, যার মূল্য নির্ধারণ হয়নি। আর অকৃষি জমি রয়েছে ১৪ শতাংশ। আর ৪ শতাংশ জমিতে দোতলা দালান রয়েছে ১টি। এছাড়া একটা অ্যাপ্যার্টমেন্ট রয়েছে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৫ টাকার।